আ হ জুবেদঃ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের আড্ডা আর সভা-সমাবেশে মুখরিত কুয়েত সিটির গুলশান হোটেল।
প্রায় দুই যুগের কাছাকাছি সময় ধরে এই হোটেলটি বাংলাদেশীদেরকে স্বদেশী মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে আসছে।
দেশ ছেড়ে সুদূর বিদেশে অনেকটা দেশীয় পরিবেশের ছোঁয়া গুলশান হোটেলের চায়ের টেবিলে।
পূর্বদিকে বাংলাদেশী অধ্যুষিত সুক আল-ওয়াতানিয়া মার্কেট, উত্তরদিকে কুয়েত লিবারেশন টাওয়ার, অন্য দুই দিকে কুয়েত সরকারের বিভিন্ন সরকারি ভবন।
তার মধ্যখানে বাংলাদেশী দ্বারা পরিচালিত কুয়েত সিটির গুলশান হোটেল।
এ হোটেলকে কেউ বলেন সেমিনার হল, কেউ বলেন রাজনীতিবিদদের বৈঠকখানা আবার কেউ বলেন জাফর দা’র মধুর ক্যান্টিন।
তবে যে যাই বলুক, কুয়েত সিটির গুলশান হোটেল স্বদেশী মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে কাস্টমারদের প্রশংসাও বেশ কুড়িয়েছে।
গুলশান বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি অভিজাত এলাকার নাম।
অন্যদিকে কুয়েতের হোটেল গুলশান বাংলাদেশীদের জন্য আড্ডা আর সভা সমাবেশের জন্য বেশ পরিচিত একটি স্থান।
গুলশান হোটেলের মালিক জাফর আহমেদ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে কুয়েতে হোটেল ব্যবসা করে আসছেন।
জাফর আহমেদ বলেন, গুলশান হোটেল সব ধরনের বাংলাদেশী খাবার পরিবেশন করে আসছে এবং সুন্দর পরিবেশে বসার জায়গাও এখানে রয়েছে।
এছাড়াও হোটেলের ঠিক উপর তলায় শতাধিক মানুষের সভা- সমাবেশ বা যেকোনো ধরনের অনুষ্ঠান করার সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের যেকোনো অনুষ্ঠানে গুলশান হোটেল খাবার সরবরাহ করে আসছে।
এছাড়াও কুয়েতে যেহেতু বাহিরে সভা-সমাবেশ করা নিষিদ্ধ; সেহেতু সপ্তাহের দুদিন শুক্রবার ও শনিবার গুলশান হোটেলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন তাদের সভা- সমাবেশ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অনেকে গুলশান হোটেলকে জাফর দা’র মধুর ক্যান্টিন বলেও আখ্যায়িত করেন।